বুড়িচংয়ের সংস্কারবিহীন সেতু, জনগণের দুর্ভোগ চরমে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী রাজাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ব্রীজটির অবস্থান। বুড়িচং উপজেলা সদর ও এর আশপাশ থেকে হরিপুর,জরুইন হয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন, শঙ্কচাইল গ্রামছাড়াও পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা সদর, কুমিল্লা জেলাসদরসহ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদরে সরাসরি যোগাযোগের এই সড়ক পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে। এই সড়কটিতে চলাচল করছে প্রতিদিন শত শত সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইক,পিক-আপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল,রিক্সা।
বুড়িচং উপজেলা সদর হয়ে রাজাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন সড়কটির দুরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। ব্যস্ততম সড়কের এই ব্রীজটি গত ৬ বছর ধরে কার্যতঃ ঝুঁকিপুর্ণ থাকার পরও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।
স্থানীয় অনেকেই জানান,উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউপি চেয়ারম্যানছাড়াও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে একাধিকবার বলা হয়েছে। প্রতিবারই তারা সংস্কারের আশ্বাস দিলেও বছরের পর বছর এভাবেই ঝুঁকিপুর্ন রয়ে গেছে।
স্থানীয় জরুইন গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রতিদিনই ব্রীজটি পারাপারে অটোরিকসা, ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সা উল্টে দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয় রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা প্রায় ৬ বছর ধরে ব্রীজটি ঝুঁকিপুর্ন হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলার প্রতিটি সভায় ব্রীজটি সংস্কার বা নতুন করে মেরামতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসী, বুড়িচং-রাজাপুর রুটে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা,ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা জানান,প্রতিদিনই যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে আহতের ঘটনা ঘটছে। এঅবস্থায় ব্রীজটির দ্রুত সংস্কার দাবী তাদের।
এবিষয়ে বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া জানান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছি। তিনি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। যদি তিনি এটা না করেন,তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় দ্রুত ব্রীজটির সংস্কার করা হবে।