কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘শাস্তির সিদ্ধান্ত’ প্রত্যাহারের দাবি
গণমাধ্যমে তথ্য দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও একই বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছের পদোন্নতি বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ১৫৬ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি এইরকম গর্হিত প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব ঘৃণীত পদক্ষেপ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল শিক্ষকদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ হিসেবে আমরা দেখছি। এতে সার্বিকভাবে সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বিনষ্ট হয়। তাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেয়া বিদ্বেষমূলক সিদ্ধান্ত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারের ব্যাপারে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নেয়ার ঘটনায় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন আব্দুল কাইয়ুম তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক হলেই অনেকেই ধারণা করেন এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নেতিবাচক তথ্য (যদিও যা ঘটে সেটিই সংবাদ) সাংবাদিকদের দিয়ে প্রশাসনকে বিপদে ফেলে! আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরও একজন সাবেক কর্তাব্যক্তি সাংবাদিকদের আমার নাম ধরে জিজ্ঞাসা করতেন যে আমি তাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদে উদ্বুদ্ধ করি কিনা? তথ্য দিই কিনা? সন্দেহের বশে বিভিন্ন সময় জেরার সম্মুখীন হয়ে ইঙ্গিতে ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে। আমি বলি কি, আমরা ছাত্রদের অযথা এমন কাজে লাগাবো ভাবতেই পারি না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে। অপরাধের তথ্য কাউকে দেয়ার জন্য হেনস্তার শিকার (শাস্তিমূলক ব্যবস্থা) হতে হবে এটি মানতে পারছি না। সেই সাথে সাংবাদিকতা বিভাগের আরেকজন শিক্ষক কাজী আনিস ভাইয়ের পদোন্নতি বাতিলের নিন্দা জানাচ্ছি। দুই বিষয়েরই সম্মানজনক সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। যে রেজিস্ট্রার বলেছিলেন ঐ বিভাগ খুলে পাপ করেছেন, তার অপসারণ দাবি করছি।’