কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীর বাসায় যাতায়াত, গভীর রাতে হলেন লা’শ
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসীর স্ত্রীর ভাড়া বাসায় ৪৩ বছর বয়সী এক যুবকের মৃ’ত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মা’রা যান। তবে এটি রহস্যজনক মৃ’ত্যু বলে দাবি স্বজনদের।
মৃতের নাম মো. আলম মিয়া। তিনি হোমনা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আক্তার হোসেনের ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পিয়ন (এমএলএসএস) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হোমনা বদলহাজি বাড়ির তোতা মিয়ার মেয়ে রেহেনা বেগমের স্বামী বিদেশে রয়েছেন। এজন্য তিনি হোমনা চৌরাস্তায় মো. আফাজ উদ্দিনের পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া নিয়ে থাকেন। তার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন আলম।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে রেহেনার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আলম। এ সময় মো. রফিকুল ইসলাম নামে একজনের সহযোগিতায় আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান রেহেনা। সেখানে নেয়ার পর তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে সেখান থেকে রেহেনা পালিয়ে যান। পরে রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রেহেনা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আলম আমার বন্ধু। তার সঙ্গে ৮টার দিকে দাওয়াতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেতে পারিনি। রাত সোয়া ৩টার দিকে আলমের মোবাইল ফোন থেকে অসুস্থতার খবর জানান রেহেনা। পরে আমি গিয়ে রেহেনার বাসা থেকে আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাহিদা সিকদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃ’ত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা যৌ’ন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ার পরে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃ’ত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, আলমের লা’শ কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃ’ত্যু মামলা করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে রেহেনা বেগমকে খুঁজছি। তাকে পেলেই মৃ’ত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ