তনুর পরিবারকে ছয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়েছে তাঁর পরিবার। তারা অপরাধীদের আইনের আনার দাবি জানায়।
এ হত্যা মামলায় বুধবার তনুর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে ঢাকায় তলব করে মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির নতুন ভবনের ষষ্ঠ তলায় বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর পাওয়ার হাউস এলাকায় কালভার্টের পাশের ঝোপ থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। কারা, কী কারণে তনুকে খুন করেছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলাটি এখন তদন্ত করছে সিআইডি। তনু হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে যে তিনজনের নাম তাঁর মা সিআইডিকে বলেছিলেন, গত ২৪ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন ঢাকা সেনানিবাসে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
সকাল ১০টার মধ্যেই সিআইডির সদর দপ্তরের নতুন ভবনে মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল, চাচাতো বোন লাইজু জাহান ও চাচাতো ভাই মিনহাজ হোসেন হাজির হন।
তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল বলেন, ‘বেলা একটায় আমাদের মধ্যে প্রথমে চাচাতো বোন লাইজু জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আমাকে এবং পরে চাচাতো ভাই মিনহাজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্ধ্যায় আমার বাবা ইয়ার হোসেনকে ডাকা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ, আগের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির কুমিল্লা অফিসের সাবেক পরিদর্শক গাজী ইব্রাহীমসহ অন্য কর্মকর্তারা।’
আনোয়ার হোসেন রুবেল আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার ন্যায়বিচার চায়। বোন এবং সন্তান হত্যার বিচার চাই আমরা। আমরা যাদের সন্দেহ করছি, তাদের আইনের আওতায় আনলেই হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাওয়া যাবে। সবাই আমরা একই বক্তব্য দিয়েছি।’
জানতে চাইলে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনলে এ হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের তদন্তের স্বার্থেই ঢাকায় ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে আজ দুপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যে প্রশ্নটা আসছে, তনুর আত্মীয়স্বজনকে কেন ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে, এটা একটা তদন্তের অংশ। তদন্ত চলছে। আমি মনে করি, তদন্তে সত্যিকারের ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে। তনু হত্যার তদন্ত করছে সিআইডি। আমি আশা করি, সিআইডি তনু হত্যার মূল ঘটনা উদ্ঘাটন করবে।’
সূত্রঃ observerbd