ভারতের ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যুত বিক্রমকে কুমিল্লায় উষ্ণ সংবর্ধনা
ভারতের ত্রিপুরার মহারাজা শ্রী প্রদ্যুত বিক্রম কিশোর দেববর্মণ কে উষ্ণ সংবর্ধনা প্রদান করেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক)। কুমিল্লা নগরীর ঈশ্বর পাঠশালায় আয়োজিত শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের রথারোহনের মাধ্যমে উল্টো রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশের কুমিল্লা সফরে আসেন মহারাজা শ্রী প্রদ্যুত বিক্রম কিশোর দেববর্মণ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাতে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ত্রিপুরার মহারাজা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি’র সাথে মতবিনিময় করেন। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মাঝে কথা হয়।
এসময় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান সহ জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ত্রিপুরার মহারাজার সম্মানে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আয়োজিত নৈশভোজে সবাই মিলিত হন।
জানা যায়, ত্রিপুরার মহারাজা শ্রী প্রদ্যুত বিক্রম কিশোর দেববর্মণ দুই দিনের সফরে ২৭ জুন মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লায় পৌঁছেন। তিনি বিকেলে নগরীর ঈশ্বর পাঠশালায় আয়োজিত শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের রথারোহনের মাধ্যমে উল্টো রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন । এ সময় উল্টো রথযাত্রার বেলুন উড়িয়ে , মঙ্গল আরুতি করে ও রথের দড়ি টেনে উদ্ভোধন করেন তিনি । উদ্বোধন শেষে ঈশ্বরপাঠশালা থেকে পূজা অর্চনা, আরতি ও মহাহরিনাম কীর্তন,বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে নগরীর গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে ফিরা রথযাত্রা শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে দুপুরে মহারাজা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলাধীন লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া এলাকায় অবস্থিত ত্রিপুরা পল্লী পরিদর্শন করেন। ত্রিপুরাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
বুধবার (২৮ জুন) সকালে বিবির বাজার স্থল বন্দর হয়ে মহারাজা দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশের অতিথিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন ত্রিপুরার রাজা শ্রী প্রদ্যুত বিক্রম কিশোর দেববর্মণ।
কুমিল্লা সফরে প্রদ্যুত বিক্রম কিশোর দেববর্মণের সফর সঙ্গী ছিলেন ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা জেলা পরিষদ কার্যনির্বাহী সদস্য, কমল কলই, রুনিয়াল দেব বর্মা। ২৮ জুন সকলে আগরতলায় ফিরে যান।