কুমিল্লায় ছাত্রদলের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন। টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান তিনি। বুধবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইফতেখার অনিক (২২)। সে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদে ছিলেন।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঞা জানান, ২১ জুন রাতে লাকসাম পৌর শহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আলমগীর হোসেনের ওপর যুবদলের কর্মী সায়মুন রহমান রকির নেতৃত্বে ছাত্রদলের কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালান। ওই সময় তারা ছাত্রলীগের নেতা অনিক, সৌরভ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার বুকে ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইফতেখার অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে অনিককে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বুধবার রাতে অনিকের মৃত্যু হয়। অনিকের মতোই বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিকেলে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহাফুজ বলেন, ‘অনিক আহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা মনির আহমেদ ২২ জুন ছাত্রদলের ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আমরা অভিযান চালিয়ে একজনকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করি। অনিকের মৃত্যুতে মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। পালাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।’
এদিকে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইউনূছ ভূঁঞাসহ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতা অনিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।