মুরাদনগরে মাজারের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫
মুরাদনগর সংবাদদাতাঃ মুরাদনগর উপজেলার পীরকাশিমপুর গ্রামে পীরকাশিমপুর দরবার শরিফের আধিপত্য বিস্তার ও খেলাফতকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ জন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
শনিবার সকালে উপজেলার পীরকাশিমপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার পীরকাশিমপুর গ্রামে পীরকাশিমপুর দরবার শরিফ (বড় হুজুরের) দরবারের, দরবারের খেলাফত ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, একই গ্রামের মরহুম হযরত খাজা শাহ মোহাম্মদ সামছুজ্জামান চিশতির পুত্র মো: জহিরুল আলম চিশতি (৬৫), শাহ আলশ চিশতি (৬২), নজরুল আলম চিশতি (৬০) সহ একটি সঙ্গবদ্ধ গ্রুপ সুপরিকল্পিত ভাবে দরবারের খেলাফত ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে শনিবার সকালে হামলা চালায়। হামলায় বর্তমান গদিানিশি পীর কামরুজ্জামান চিশতি এর মেয়ে তৈয়বা জামান (৩২), তাহেরা জামান (৩০), তামজিদা জামান (৩০) সহ ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত তাহেরা জামান জানান, আমার বাবা বর্তমান গদিনিশি পীর হযরত খাজা শাহ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান চিশতি বিগত ৫৫ বছর পূর্বে আমার দাদা তৎকালীন পীর মরহুম খাজা সামসুজ্জামান চিশতির কাছ থেকে খেলাফত পেয়ে এ যাবৎ দরবারের কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু এক বছর যাবৎ আমার বাবা অসুস্থ্য হবার পর থেকে আমার চাচারা মো: জহিরুল আলম চিশতি (৬৫), শাহ আলশ চিশতি (৬২), নজরুল আলম চিশতি (৬০) একটি চক্রকে সাথে নিয়ে দরবারের খেলাফত দাবী করে দরবারে সমস্ত সম্পদ দখলের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে নানান ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে দরবারের বাৎসরিক ওরশ চলাকালে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমরা আহত হই। এ হামলার কারণে দরবারে বেশ উদ্ধেগ-উৎকন্ঠা চলছে। দরবারের ভক্তবর্গ অনেকেই ভয়-ভীতিতে আছেন।
তানজিদা জামান জানান, আমার চাচারা বর্তমানে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে।
জহিরুল আলম চিশতি জানান, উক্ত অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। পারিবারিক ভাবে কিছু মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে মাত্র।
বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে আমরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।