কুমিল্লায় প্রস্রাবের সময় বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লার চান্দিনায় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রস্রাব করা অবস্থায় বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ৯টায় চান্দিনা উপজেলার পশ্চিম বেলাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জ্বল হোসেন (২৬) বেলাশহর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক ডেকোরেশন ব্যবসায়ী। হত্যাকারী বন্ধু আব্দুল আউয়াল (২৫) একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনিও একই পেশায় নিয়োজিত।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম জানান, আমি পশ্চিম বেলাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চা দোকানের ব্যবসা করি। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার দোকানের পাশে উজ্জ্বল প্রস্রাব করছিল। এ অবস্থায় তার বন্ধু আউয়াল তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

তিনি জানান, উজ্জ্বলের চিৎকার শুনে আমরা দোকান থেকে বের হতেই আউয়াল দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে তার।

এদিকে হত্যাকারী আব্দুল আউয়াল সম্পর্কে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। ইতোপূর্বে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মারামারি, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী। এ সময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

মৃতের স্ত্রী বিউটি আক্তার জানান, আব্দুল আউয়াল এবং আমার স্বামী দীর্ঘদিনের বন্ধু। আউয়াল প্রতিদিনই আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। দুই বন্ধু মিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও পশ্চিম বেলাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ইলেকট্রিক ডেকোরেশন দোকান দিয়ে এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করে আসছেন। প্রায় এক বছর আগে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়ে একই স্থানে দুইজনে পৃথক দোকান দেয়। আমার স্বামীর কাজ ও ব্যবহার ভালো থাকায় বেশির ভাগ কাজই আমার স্বামী পায়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। ধারণা করছি ওই ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনার সংবাদ পেয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে মৃতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন