জনগণ বিপুলসংখ্যক ভোট দিয়ে আমার দলকে জয়ী করেছে: ইমরান খান

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যেই কারাগার থেকে নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এমনটাই দাবি করেছেন।

এক্স পোস্টে ইমরান লেখেন, জনগণের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য পদ্ধতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও আমাদের জনগণ ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছে। যেমনটি আমরা বারবার বলেছি, যার সময় এসেছে তাঁকে কোনো শক্তি পরাজিত করতে পারবে না।

ওই পোস্টে ইমরান দাবি করেন, জনগণ বিপুলসংখ্যক ভোট দিয়ে তার দলকে জয়ী করেছে।

এদিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। তবে ফল ঘোষণা শুরুর পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। এর প্রায় ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথম আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই আসনটিতে জয় পান ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানায়, ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।

এএফপি বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রকাশিত ফলে মাত্র ৮টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছে তিনটি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, এখন পর্যন্ত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পেয়েছে চারটি আসন। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজও (পিএমএল-এন) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চারটি আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে দুটি আসন।

এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলকে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে পিএমএল-এন সবচেয়ে বেশি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ৭৪ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদ রয়েছে।

কিন্তু স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো বলছে, নওয়াজের এই দলটি নির্বাচনে ভালো করতে পারেনি। এমনকি নওয়াজ শরিফ নিজেও একটি আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ভোটের সংখ্যায় পিছিয়ে পড়েছেন। নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সেক্ষেত্রে হতে পারে জোট সরকার।

আরো পড়ুন