ইফতার তৈরির পাতিলে পড়ে ৩ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
ইফতারে খিচুড়ি রান্নার জন্য চাল, ডালসহ রান্নার প্রস্তুতি হিসেবে পাতিলে গরম পানি রেখেছিল মা। সাড়ে তিন বছরের শিশু মো. আদনান হাবিব পাশেই খেলছিল। হঠাৎ ফুটন্ত গরম পানির পাতিলে পড়ে যায় আদনান। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোষেরপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় আদনানের দাফন হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোষেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু আদনান হাবিব ওই এলাকার মো. লেমান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজানের দ্বিতীয় রোজায় মসজিদে ইফতার দেওয়ার জন্য খিচুড়ি রান্না করছিল পরিবারের সদস্যরা। খিচুড়ি রান্নার জন্য গরম পানি করে রেখেছিল পাতিলে। আদনান হাবিবসহ কয়েকজন শিশু খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে আদনান হাবিব গরম পানির পাতিলের মধ্যে পড়ে যায়। এতে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায় আদনানের। পরে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, খিচুড়ি রান্না করার জন্য গরম পানি পাতিলে রাখা হয়েছিল। খেলতে খেলতে হঠাৎ করে পাতিলের মধ্যে পড়ে যায়। শরীরের বেশিভাগ অংশ পুড়ে গেছে। গতকাল আদনান অনেকটা সুস্থ বোধ করে। সে কথাও বলেছে। রাতে একটু মায়ের বুকের দুধও খেয়েছে। পরে কী হলো জানি না, সাড়ে ৯টা দিকে সে মারা গেল।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, খেলতে গিয়ে গরম পানিতে পড়ে আহত হয়েছিল। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছিল।