মুক্তি পেয়ে যা বললেন মাকে হত্যায় অভিযুক্ত সাদ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মাকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত বগুড়ার সাদ বিন আজিজুর রহমান। তার দাবি, তিনি র্যাবের কাছে কোনো স্বীকারোক্তি দেননি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামিনে জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
‘তাকে র্যাব কোনো নির্যাতন করেছিল কিনা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে কিনা?’- প্রশ্নের জবাবে সাদ বলেন, ‘ওই সব নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি ছোট মানুষ ওই সময় কি হইছে না হইছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে চাচ্ছি না। আর আমার ওই রকম কোনো অভিযোগ নেই।’
‘বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর বের হলেন যাদের কারণে জেল খাটলেন, আপনি তাদের বিচার চান কি না?’ -প্রশ্নের উত্তরে সাদ বলেন, ‘যারা প্রকৃত হত্যাকারী তাদের সঠিক বিচার আমি চাই। আর কোনো কথা থাকলে আপানারা আমার অভিভাবকের কাছে থেকে জেনে নেন। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাচ্ছি।’
‘মাকে হত্যার দায় দিল র্যাব এ বিষয়ে আপনার কী মতামত? -প্রশ্নের জবাবে সাদ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাকে নির্দোষভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। আর আমি যে নির্দোষ তা সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে। যারা প্রকৃত হত্যাকারী তাদের শাস্তি হোক এটা এখন আমার চাওয়া। আর ওই রকম বিষয়ে আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার ওপর যে জুলুমটা হইছে, তা হইছে, আমি ওই রকমভাবে কিছু বলতে পারছি না। ওই বিষয়ে আপনারা আমার অভিভাবকদের কাছে জেনে নিন। আমি ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
‘আদালত আপনাকে জামিন দিয়েছে কিন্তু কাগজে কলমে আপনি এখনও আপনার মা হত্যার দায় এখনও রয়েছে, সে দায় থেকে আপনি মুক্তি চান কিনা?’ প্রশ্নে সাদ বলেন, ‘আমি অবশ্যই মুক্তি চাই।’
এর আগে গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করে ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া।