সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ শাহবাগ, চতুর্দিকে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন

পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের তিনটি প্রধান হাসপাতাল এখানে। রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোরও একটি শাহবাগ। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে নানা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় স্থানটি। এতে সাধারণ মানুষ পড়েন দুর্ভোগে, রোগীদের ভোগান্তি হয় আরও ভয়াবহ। বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় আইন করে শাহবাগ মোড় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

ঢাকা মেডিকেলগামী অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, গাড়িতে স্ট্রোকের রোগী। ডেমরা এলাকা থেকে নিয়ে এসেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেব। কিন্তু ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আসার পর রাস্তা বন্ধ বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সেখান থেকে ছেড়ে দিলেও শাহবাগ পার হতে পারিনি। বিকল্প রাস্তায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

তীব্র ভোগান্তির কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ পথচারীরাও। আফজাল হোসেন নামে এক পথচারী বলেন, গুলিস্তান যাব বলে মোহাম্মদপুর থেকে বাসে উঠেছি। এখানে আসার পর দেখি রাস্তা বন্ধ। দুই দিন পরপর এখানে কোনো না কোনো আন্দোলন হয়। এর আগেও ডাক্তাররা এখানে আন্দোলন করেছে। শুনলাম তাদের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আজ দেখি আবার রাস্তা বন্ধ।

ভোগান্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনে চালক ও সহকারীরাও। রজনীগন্ধা পরিবহনের চালক ফজল মিয়া বলেন, রাস্তা বন্ধ দেখে যাত্রীরা নেমে গেছে। কিন্তু আমাদের তো যাওয়ার উপায় নাই। সকাল থেকে বাস নিয়ে এখানে বসে আছি। আর কতক্ষণ থাকতে হবে আল্লাহই জানেন।

এর আগে ৫০ হাজার টাকা ভাতার দাবিতে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমবেত হন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

আরো পড়ুন