চান্দিনায় সরকারি খাল ভরাট করে দখল; নেপথ্যে মাটি ব্যবসায়ী তাজুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মাধাইয়া-কাশিমপুর সংযোগ খাল স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল মাটি ভরাট করে দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খালটি ভরাট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। ফলে খালের পাশের ফসলি জমিগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়েনের মাধাইয়া-কাশিমপুর সংযোগ খালটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। নোয়াপাড়া, সোনাপুর, দোতলা ও বড় কলাগাঁও এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এটি। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম ড্রেজার দিয়ে খালটি ভরাট করেন।

নাওতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের জানান ,এই খালটি ভরাট করার ফলে বৃষ্টির পানি আটকে চাষীদের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাধাইয়া ইউনিয়নের অধীনে সোনাপুর মৌজায় সরকারি ম্যাপে ৭০১নং দাগে একটি খাল রয়েছে। যেটির প্রায় ৪৫ ফুট মাটি দিয়ে ভরাট করে পাশের জমির সাথে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার এবং শনিবার রাতের অন্ধকারে মাটি ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম ও পাশ্ববর্তী জমির মালিক রবিউল্লাহ-লিলুসহ আরো কয়েকজন মিলে ড্রেজার দিয়ে মাটি এনে খালটি ভরাট করে।

জমির মালিক রবিউল্লাহ ও লিলু মিয়া জানান, আমরা জমি কিনেছি নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম এর কাছ থেকে। তাজুল ইসলাম এখন আমাদের জমি ভরাট করে দিচ্ছে। আমাদের জমির অংশের সাথে সরকারি খালও ভরাট করে ফেলেছে কিনা, তা আমরা বলতে পারবো না। সরকারি খাল দখল করা অন্যায়।

মাধাইয়া ভূমি অফিসের তশিলদার মো. দেলোয়ার হোসেন মুঠো ফোনে জানান, গত শুক্রবার রাতের অন্ধকারে খালটি ভরাট করেছে জানতে পেরে আমি ছুটে যাই খালের পাড়ে। গিয়ে দেখি খালটি ভরাট করা হয়েছে। সাথে সাথে তা আমি স্যারকে জানাই।

এ ব্যাপারে চান্দিনা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমেদ জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। প্রভাবশালী একটি মহল খালটিকে ভরাট করে ফেলেছে। সব তথ্যাদি নিয়ে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

আরো পড়ুন