কুমিল্লা গোমতীর পাড়ে খুশির ঝিলিক
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা নগরী লাগোয়া গোমতী নদীর পাড়ে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এতে খুশি কুমিল্লা নগরবাসী। নতুন রাস্তা হওয়ায় নগরীতে গাড়ির চাপ কমবে, কমবে যানজট। অন্যদিকে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে লোকজন। কুমিল্লার জগন্নাথ মন্দির থেকে আমতলী পর্যন্ত গোমতীর পাড়ে ১০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন।
নগরীতে যানবাহনের চাপ কমাতে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। সড়কের কাজ প্রায় শেষ, শুধু উদ্বোধন বাকি। জগন্নাথ মন্দির থেকে আমতলী পর্যন্ত নতুন সড়কটিতে ব্যয় হয় ২৩ কোটি টাকা। অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। সড়কটিতে নগরীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে জগন্নাথ মন্দির, চকবাজার, কাপ্তান বাজার, ভাটপাড়া ও পালপাড়া। এ ছাড়া নগরীর যানজট কমাতে নতুন করে কাজ করা হচ্ছে নোয়াগাঁও-চৌমুহনী থেকে বেলতলী পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের। এতে ব্যয় হবে ৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া কচুয়া-চৌমুহনী থেকে মুন সিএনজি পাম্প পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোমতীর পাড়ের কাঁচা রাস্তা এখন পিচঢালা রাস্তা হয়েছে। সেখানে কালো পিচের ওপর সাদা রঙের রেখা পড়ে তা বর্ণিল হয়ে উঠেছে। সাঁই সাঁই শব্দ তুলে চলে যাচ্ছে মোটরবাইক আর প্রাইভেট কারচালকরা। চালকদের অনেকটা ভ্রমণের আবহে দেখা গেল। তবে নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা মাটি ও বালিবাহী ট্রাক্টরগুলো সড়কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উজ্জীবনের উপদেষ্টা ডা. গোলাম শাহজাহান বলেন, গোমতী পাড়ের নতুন রাস্তাটি নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেক কমিয়ে আনবে। নদী থেকে মাটি তুলে ট্রাক্টর দিয়ে এই সড়ক দিয়ে পারাপার করলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। এই সড়কে মাটিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটির আরও সৌন্দর্য বর্ধনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সড়কে মাটিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন