চান্দিনায় পূত্রবধূর পরকীয়ার বলি হলেন শাশুড়ি; আটক ৩
নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়াঃ কুমিল্লার চান্দিনায় পূত্রবধূর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় খুন হতে হলো শাশুড়িকে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন- বাতাঘাসী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৩৮), নিহতের ছেলে সুমন (৩০) ও নিহতের পুত্রবধূ সুমনের স্ত্রী তানজিলা (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জাহানারার সাথে জমি বেচাকেনার জেরে তার পরিবারে আসা যাওয়া করতো ওই গ্রামের মনির হোসেন। এসময় জাহানারার পুত্রবধূ তানজিলা এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে তার। একসময় তাদের এই অনৈতিক সর্ম্পক চোখে পড়ে শাশুড়ি জাহানারার। গত সোমবার মধ্যরাতে প্রেমিক মনিরকে সাথে নিয়ে শাশুড়িকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের একটি পুকুড়ের পানিতে চুবিয়ে জাহানারার মৃত্যু নিশ্চিত করে পুত্রবধূ। এসময় তাদের সহযোগিতা করেন নিহতের ছেলে সুমন। মৃত্যুর পর নিহতের মরদেহ পুকরের পাড়ে শুয়িয়ে চলে যায় তারা।
এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলার বাতাঘাসী গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহানারা বাতাঘাসী গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় জাহানারা। তারপর তাকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। সকালে বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে একটি পুকুড়পাড়ে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে চান্দিনা থানার এস.আই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চান্দিনা থানার ওসি আলী মাহমুদ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে জাহানারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ আলী মাহমদু বলেন, হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।