কুমিল্লার ইসলাম কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল দশ ঘাতক
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার দাউদকান্দির মো. ইসলাম কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল ১০ ঘাতক। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গুলি করে ও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত মাসুদ ও রুবেল নামের দুই ঘাতক গত রবিবার বিকালে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এ জবানবন্দী দিয়েছে। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাজরা গ্রামের মো. ইসলাম (৩৫) পেশায় ট্রলার চালক হলেও ওই এলাকায় মেঘনা ও গোমতী নদীকেন্দ্রীক জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে দস্যুতা, অস্ত্র ও পুলিশকে আক্রমণসহ নানা অপরাধের ৮টি মামলা রয়েছে। জলদস্যু ইসলামের সঙ্গে ওই এলাকার অপর একটি জলদস্যু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এতে সে প্রাণভয়ে রাতে নিজের বাড়িতে ঘুমাতো না। গত ২ মে রাতে সে তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। ওই রাতে একই উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের মাসুদ (২৫) ও তিতাস উপজেলার গাজীপুর গ্রামের রুবেলসহ (১৯) সংঘবদ্ধরা পরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ইসলামের ওপর গুলি চালায় এবং এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহত অবস্থায় ইসলামকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়। এ ঘটনার পরদিন তার স্ত্রী সুমী আক্তার বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
এস.আই. শাহ কামাল আকন্দ আরও জানান, ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার রাতে দাউদকান্দি এলাকা থেকে ঘাতক মাসুদ ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব দেবনাথের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
সূত্রঃ ইত্তেফাক