লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেয়ার বানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি রাখেন বুড়িচংয়ের সেলিম
বুড়িচং প্রতিনিধঃ জাতির ইতিহাসে গভীরতম শোকের মাস আগষ্ট। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর থেকে প্রায় ২ যুগ শত চেষ্টা করেও মুজিবের নাম হৃদয়ের থেকে মুছতে পারেনি বাংলার মুজিব সৈনিকরা এবং কি শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি বাঙ্গালির মনে তার স্থান চিরস্থায়ী হয়ে আছে। আর এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শোক বেদনা ও শ্রদ্ধা জানাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের মো: সেলিম ১ লাখ টাকা ব্যয় করে দুটি চেয়ার বানিয়ে নিজে না বসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার ছবি রাখতে দেখা যায় এবং ছবি রাখার জন্য একটি ঘরও বানানো হয়। সকাল-বিকাল প্রতিদিন ২টি ছবিকে খুব যত্ন সহকারে নিজ হাতে মুছেন। এই চেয়ার দুটিতে আছে খোদাই করা নৌকার প্রতীক, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় পতাকাসহ রয়েছে বিভিন্ন নকশা। মো: সেলিম কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক।
তিনি বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে নেই, কিন্তু তার আদর্শ এবং স্বপ্ন ঐতিহাসিক পরিকল্পনা সোনার বাংলা গড়ার বাস্তবায়নকারী সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন তার দ্বারাই এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শৈশব কাল থেকেই লালন পালন করে এতটুকু এসেছি এবং বাকি দিনগুলো তার আদর্শকে বুকে লালন পালন করে পার করে দিতে চাই। তিনি আরো জানান, দুটি চেয়ার বানাতে প্রায় ২ মাস সময় লেগেছে এবং ১ লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় হয়েছে। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রতি শোক প্রকাশ ও শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান মাত্র। তিনি এম.এ পাশ করেও চাকরীতে যোগদেননি। কারণ একটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সবার মাঝে তার মত করে ধারণ করার জন্য এলাকা থেকে অনুপ্রাণিত করছেন বলে তিনি জানান।
সরজমিনে দেখা যায়, তার এই চেয়ার দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ দূর-দুরান্ত থেকে এসে দেখে যায় এবং কেউ মোবাইল ও ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে নেন। যে যার যার মত করে ফেসবুকে পোষ্ট করতেও দেখা যায় । তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সকলে যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়। তিনি এসময় তার রাজনীতির গুরু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।