কুমিল্লা-৯ আসন আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা দেশের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন ফারুক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। দেলোয়ার হোসেন ফারুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, দেশের সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর চেয়ারম্যান (বেসিস মেম্বারস্ ওয়েলফেয়ার এন্ড মেম্বার সার্ভিসেস)। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

গতকাল শনিবার দুপুরে এক উৎসবমুখর পরিবেশে কয়েক ’শ নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দেলোয়ার হোসেন ফারুক। এ সময় লাকসাম-মনোহরগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (উত্তর) সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কে›ন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আমজাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (উত্তর) সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (উত্তর) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান শাওন, ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী প্রমুখ।

গতকাল বিকেলে এই বিষয়ে জানতে চাইলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসনে আমি বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি আশা করি সকলদিক বিবেচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নীতিনির্ধারকরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দল ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কল্যাণে ব্যাপকভাবে কাজ করতে পারবো। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মেধা নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ গঠনে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মতো একটি গুরত্বপূর্ণ জনপদকে সম্পৃক্ত করে সকলের উন্নয়নের জন্যও আমি কাজ করতে চাই। অতীতের মতো আগামীতেও সুখে-দুঃখে সকলের পাশে থাকতে চাই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট প্রার্থী ছিলেন তিনি। সেসময়ও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর জমা দেন ফারুক তিনি। রাজনৈতিক জীবনের সকল সময়ে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে সু-সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে এলাকায় নজিরবীহন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফারুক।

গতকাল এই প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো দল ক্ষমতায় থাকলেও আমার এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের চরম দুর্দিন চলছে। সুবিধাভোগীদের দাপটে প্রতৃক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন কোনঠাসা, বলাচলে মাঠ ছাড়া । লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগ চালায় জামায়াত-বিএনপি আর রাজাকারের বংশধররা। এরচেয়ে কষ্টের ব্যাপার আর কি হতে পারে? আর বর্তমানে দুই উপজেলায় তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধাভোগীদের হাতে নির্যাতিতও হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে পরিবারভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে সেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেছি। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি। আমার লাকসাম-মনোহরগঞ্জেও আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কল্যাণে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল-ত্যাগী ও অসহায় নেতাকর্মীদের কল্যাণে কাজ করে যাবো। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি দল ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কল্যাণে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করতে পারবো। এই আসনকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করবো। এজন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগীতাও চাইছি আমি।

উল্লেখ্য, দেলোয়ার হোসেন ফারুক লাকসাম উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আতাকরা স্কুল এন্ড কলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের সম্ভান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা দেলোয়ার হোসেন ফারুক ছাত্রজীবনে লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। বর্তমানে অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দেলোয়ার হোসেন ফারুক বাল্যকাল থেকেই মানুষের সুখে সুখী এবং মানুষের দুঃখে ব্যথিত হতেন। তিনি মনে মনে সদা সমাজসেবার চিত্র অংকন করতেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানে তিনি রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এছাড়া তাঁর অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে রয়েছে, রেডিসন বিল্ডার্স এন্ড হাউজিং লি. রেডিসন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, রেডিসন মিডিয়া হাউজ প্রমুখ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রকৃত সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী।

আরো পড়ুন