তিতাসে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণে বাধাঁ ঝুপরি ঘরে মানবেতর জীবন যাপন
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে বাধাঁর সম্মুক্ষিন হয়ে, ঝুপরি ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে জমি গ্রহিতা আলি আজগর। ঘটনাটি তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের চাঁন্দ নাগেরচর গ্রামে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের মৃত আবঃ রহিমের ছেলে মো. আলী আজগর একাই ইউনিয়নের চাঁন্দ নাগেরচর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন ও জাকির হোসেনের কাছ থেকে আনুমানিক একবছর পূর্বে চাঁন্দ নাগেরচর মৌজার জেল.এল. নং এস.এ-১২৩নং, বি .এস.নং-৮৫, খয়িান নং- বি.এস.চুরান্ত নং-২৮, সি.এস/এস.এ-১৮৪ দাগের বি.এস-১৭৪ দাগের নাল ২১(একুশ) শতক ভূমি ৬,৩০,০০০/=(ছয় লক্ষ ত্রিশ হাজার)টাকা মুল্য সাব্যস্থ করে স্বাক্ষিগণের উপস্থিতে ৪,৫০,০০০/=(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)টাকা পরিশোধ করে বায়না পত্র দলিলের মাধ্যমে গ্রহিতা আলী আজগর জমির মালিক হন। উক্ত বায়না পত্র দলিলে উল্লেখ আছে যে দাতা আমির হোসেনের ছোট ভাই জাকির হোসেন প্রবাস থেকে দেশে আসলে বাকী ১,৮০,০০০/=(এক লক্ষ আশি হাজার)টাকা নিয়ে তফছিল বর্নিত ভূমি গ্রহিতা আলী আজগরকে সাফ কাবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিবে। এর মাঝে আমির হোসেন এলাকার লোক নিয়ে ২১ শতক জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেয়। এতে আলীআজগর জমিতে বালু ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় আমির হোসেন। এর ফলে আলী আজগর তার পরিবার নিয়ে এক ঝুপরি ঘরে মানবেত জীবন যাপন করছে।
আলী আজগরের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪৮) তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.পারভেজ হোসেন সরকারের দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন, আমি হক টাকা দিয়ে জমি কিনেছি অনেক কষ্ট করে বালু ভারাট করে ঘর তুলতে গেলে আমির হোসেন বাধাঁ দেয়, এতে আমি আমার স্বামী ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনিদের নিয়ে এই ঝুপরি ঘরে খুব কষ্টে আছি, আরো বলেন শুনতেছি আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব অনেক ভালো মানুষ ওনি যদি হক বিচার করে দিয়ে আমার যায়গাটা বুঝিয়ে দেয় তাহলে আমি ঘরটা উঠাতে পারব।
এদিকে জমি দাতা আমির হোসেন বলেন, আমি সাড়ে দশ শতক জমি বিক্রি করেছি কিন্তু আলী আজগর আমার সাথে প্রতারনা করে বায়না পত্র দলিলে একুশ শতক লিখেছে। অপর দিকে আমির হোসেনের ছোট ভাই প্রবাস থেকে মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন আমার ভাই জমি বিক্রি করছে কিন্তু আমি জমি বিক্রি করি নাই। ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মিঞা সরকার বলেন আলী আজগর বায়না পত্র দলিল মূলে একুশ শতক জমির মালিক। আমিরগং যদি পুরো জমি না দেয় তাহলে লকডাউন শেষ হলে আমরা শালিস বৈঠকে বসে বিচার করে দিব।