মুরাদনগরে একাধিক নাশকতা মামলার আসামী হতে চায় চেয়ারম্যান!
ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ভুক্ত কুমিল্লার মুরাদনগরের ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১শে জানুয়ারী রোজ সোমবার। দিন যত গড়াচ্ছে ততই সমীকরণ হচ্ছে ভোটের। সাধারণ ভোটাররা আমলে নিচ্ছেন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তাছাড়া করোনা কালে যারা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন এমন প্রার্থীরাও রয়েছেন ভোটারদের আলোচনায়। অপরদিকে নানান অভিযোগে অভিযোক্ত বা একাদিক মামলার আসামী এমন ব্যক্তিরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশেষ করে উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নে একাধিক নাশকতা ও নারী নির্যাতন মামলার আসামী উপজেলার যুবদলের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ ভূইয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় ভোটের মাঠে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
চাপিতলা ইউনিয়নের একাধিক ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাপিতলা ইউনিয়নে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশিদ। তার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহজাহানপুর ও মুরাদনগর এবং বাঙ্গরাবাজার থানায় নাশকতা, বিস্ফোরক আইন ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২০২১সালের ২০শে সেপ্টেম্বর তার চাচা-চাচিদের সম্পত্বি দখলের চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে দির্ঘদিন জেলও খাটেন সে (মামলা নং ৯/৮৫)।
মামুনের বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, ২০১১ সালে মুরাদনগর থানায় তার বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় পেনাল কোডের ৩২৬, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৮০ ধারায় মামলা হয়। মামলা নং-৪/০৪-০৯-২০১১। ২০১৮ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটনের শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলা নং-২৩/৩৩৪, ১৬-০৯-২০১৮। একই বছর ২০ডিসেম্বর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানায় নাশকতার চেষ্টা, তার বিরুদ্ধে ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩০৭ ধারাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়।
এই ইউনিয়নে ৬জন প্রার্থী থাকলেও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বাঙ্গরাবাজার থানা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আবু মুছা আল কবির নৌকা প্রতীক এবং প্রবাসী মনিরুল আলম দিপু চশমা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠ চসে বেড়াচ্ছেন।
উপজেলার যুবদলের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ ভূইয়ার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি মানেই মামলা হামলা। এতে আমি বিচলিত নই। রাজনীতি আমার নেশা ও পেশা। কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না।