ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে গুনাহ হবে কি!
প্রয়োজনে কিনবা অপ্রয়োজনে আমরা প্রায় সময়েই মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে নিয়ে থাকি। আর এই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়া মানে হলো, মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে উক্ত টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা।আর ইসলামে ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক। এতে গড়িমসি কাম্য নয়। কেউ ঋণ করার পর তা পরিশোধ না করলে পরকালে আল্লাহর দরবারে তাকে জবাবদিহিতা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া মারা গেলে হাশরের ময়দানে নিজের নেকি থেকে ঋণের দাবি পূরণ করতে হবে।হাদিসের আলোকে বুঝা যায় কেউ ঋণ করলে যথাসম্ভব তা পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধ না করে আল্লাহর আদালত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। আল্লাহর রাস্তায় শহিদ ব্যক্তির ঋণও মাফ করা হবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের পাপ ছাড়া শহিদের সব পাপই মাফ দেয়া হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ২৯১২)
পাশাপাশি ঋণ নিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ঋণ প্রদানকারী ব্যক্তি যদি সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয় তাহলে সেটি আরও উত্তম। এ প্রসঙ্গে রয়েছে, ‘আর ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে স্বচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮০)
আর তাই মোবাইলে অগ্রিম ব্যালেন্স নেওয়ার পর যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সেটি দেনা হিসেবে থেকে যাবে। সেটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত কোনো মানুষ মারা গেলে, তার মোবাইল সন্তান বা পরিবারের অন্যরা ব্যবহার করে থাকেন। এবং পরবর্তী রিচার্জের মাধ্যমে যেহেতু এটি এডজাস্ট করা হয় বা কেটে নেওয়া হয়; অতএব এর মাধ্যমে তিনি দায়মুক্ত হবেন। মোটকথা, তার উত্তারাধিকাররা তার সম্পদ থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম জানান, কেউ যদি ঋণ নিয়ে মারা যান তাহলে অবশ্যই পরিবারের অন্যদের সেটি পরিশোধ করতে হবে। মোবাইল ফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের বিষয়টিও একই ধরনের। কেউ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে পরিবারের অন্যদের তা পরিশোধ করতে হবে।