কুমিল্লায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্বামী
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামে এক যুবক ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকালে উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন নরহরিপুর গ্রামের বড়বাড়িতে নিজঘরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
কুয়েত প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নরহরিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।
রোববার খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে নিহত পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম নিশ্চিত করেন।
মৃতের পরিবারের দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না সাদ্দামের। সেই অশান্তিতে সাদ্দাম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর পূর্বে ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন নরহরিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সঙ্গে একই ইউনিয়ন মির্জাপুর আমিন বাড়ির সামছুল হকের মেয়ের নাছিমা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির মধ্যে সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকত। সাদ্দামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
দম্পতির সাত বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এ অভিযোগে গত ৮ মাস পূর্বে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ এলাকার লোকজন বসে সালিশ-দরবারে সমস্যা সমাধান করেন। রমজানের ঈদের পর প্রবাস থেকে বাড়িতে আসেন সাদ্দাম।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতি দিনই নানান কারণে তারা দুইজন ঝগড়া করতেন। সেই ঝগড়া চরমে পৌঁছলে তার স্ত্রী দুই দিন আগে সন্তানকে নিয়ে মির্জাপুরে বাবার বড়িতে চলে যান নাছিমা বেগম। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ওই দিন থেকেই অশান্তি চলছিল সাদ্দামের।
রোববার দুপুরে নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে স্ত্রী নাজমাকে ভিডিও কল দেন সাদ্দাম। স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান সাদ্দাম। এ সময় স্ত্রী নাজমা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে তাকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। বাড়ির স্বজনরা ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।