কুমিল্লায় বেড়েছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভিড়
ক্রমেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে জেলায়। ফলে জমে উঠেছে কুমিল্লার গরম পোশাকের বাজার। দোকানে গরম পোশাকের কমতি নেই। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙ এর পোশাক এসেছে বাজারে। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সরগরম।
শীতের শুরুর দিক হওয়ায় এই সব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। যে কারণে অনেক ক্রেতাই শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড় করছেন। কুমিল্লার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলো এখন গরম পোশাকে ভরপুর।
কুমিল্লার রেইসকোর্স থেকে শুরু করে কান্দিরপাড়, টমছম ব্রীজ রোডের সব জায়গায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের কম্বল।
শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় ক্রেতারও ভিড়। কুমিল্লার রেইসকোর্স এলাকার ইর্ষ্টাণ ইয়াকুব প্লাজায় রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যবস্থাপক হাসান মোর্শেদ বাসসকে বলেন, ‘শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাক হুডিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও অন্যান্য শীতপোশাকের উপরও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়।’
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাদের শোরুমে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে বলে জানান। হাসান মোর্শেদ আরো বলেন,‘ গত কয়েকদিন হাড় কাপানো শীত পড়ায়, ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার ও গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার থেকে এইসব পোশাক আসে বলে জানান তিনি।
নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির। মার্কেট ঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোমাইয়া ছিদ্দিকা লানিসা। তিনি বাসসকে বলেন,‘ ভাই-বোন আর নিজের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম।’
কুমিল্লা খন্দকার ম্যানশনে শীতের নানা ধরনের পোশাক রয়েছে। তিনশ’ টাকা থেকে শুরু করে আট-নয় হাজার টাকা দামের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। এই দোকানে কর্মরত সাজ্জাদ হোসেন বাসসকে বলেন, ‘শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে যারা দেশের বাইরে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কেনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করে এখানে।’
কুমিল্লা হকার্স মাকের্টে নিজের স্বল্প পুঁজি নিয়ে সাইফুল ইসলাম নামের পঞ্চাশর্ধ্ব এক দোকানি সাজিয়েছেন মাফলারের দোকান। প্রতিটি রুমাল কিংবা ছোট মাফলার ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি। নিম্নবিত্ত কিংবা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে এমন ক্রেতাদেরকেই তাই বেশী আকৃষ্ট করছেন তিনি।