কুমিল্লায় মসজিদের মাইকে সেহেরী খাওয়ার কথা বলাতে ইমামকে মারধর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাদকপুর নোয়াপাড়া এলাকায় ভোররাতে মসজিদের মাইকে সেহেরী খাওয়ার জন্য বলাতে ইমামকে মারধর করে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে প্রবাস ফেরৎ মোশারফ হোসেন (৩৫)। এ ঘটনায় এলাকার মুসুল্লিদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় মুসুল্লিরা জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর নোয়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মোঃ মাছুম বিল্লাহ (২৮) কে শুক্রবার ভোর রাতে প্রথম রমজানের সেহেরী খাওয়ার জন্য মাইকে মুসুল্লিদের ডাকা-ডাকি করেন।
ভোর সাড়ে ৩ টায় ইমাম সেহেরী খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এসময় মসজিদের পূর্ব পাশের বাড়ীর আঃ বারেকের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) ইমামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ইমামের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। আহত ইমাম মাছুম বিল্লাহ জানান, রমজান মাসে সেহরীর আগ মূহুর্তে মুসল্লীদেরকে মাইকের মাধ্যমে বলে দেওয়ার জন্য স্থানীয় মেম্বার মো: সুরুজ মিয়া এবং কমিটি আমাকে নিদের্শ প্রদান করেন। তাই আমার কর্তব্য পালন করতে আমি মাইক দিয়ে ডাকা-ডাকি করি।
এসময় ভোর সাড়ে ৩ টায় মাইকে ডাকা-ডাকি করলে মসজিদের পাশের বাড়ির প্রবাস ফেরৎ মোশারফ হোসেন উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালমন্দ করে এবং গলায় টিপিয়ে মারধর করে। আহত মো: মাছুম বিল্লাহর বাড়ি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পীর মহেশপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আবদুল জলিল মোল্লার ছেলে। সে সাদকপুর মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৫ মাস ১৮ দিন।
এ বিষয়ে ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, গত ৫ মাস পূর্বে সহকারী ইমাম হিসেবে মোঃ মাছুম বিল্লাহকে নিয়োগ দেয়া হয়।
মো: মাছুম বিল্লাহ মুসুল্লিদের প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ পড়ান। পবিত্র রমজান মাসে সেহেরীর সময় মাইকে ঘোষনা দিয়ে মুসুল্লিদের জাগিয়ে দেয়ার জন্য ইমামকে বলা হয়েছিল। শুক্রবার ভোর রাতে ইমাম সাহেব ঘুম থেকে উঠার জন্য মাইকে ডাকতে থাকেন। এসময় মসজিদের পাশের বাড়ীর মোশারফ নামে এক যুবকের ঘুমে ব্যঘাত ঘটায় সে ইমাম সাহেবকে মারধর করে। মোশারফ গত ১ মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন।
শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদে আগত মুসুল্লিদের নিয়ে এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধান ইমাম না থাকায় সমাধান করা যায়নি। আগামী শুক্রবার বাদ জুমা বিষটি সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে প্রবাস ফেরৎ মোশারফ হোসেন বলেন, আমি রাগের মাথায় তার গায়ে হাত দিয়েছি এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সততা নিশ্চিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।