কুমিল্লায় ‘ঈদের ভাড়া’ কমছে না এখনও!
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। ঈদের অজুহাতে জেলার প্রায় প্রতিটি সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ‘জিম্মি’ হয়ে পড়া যাত্রীদের প্রশ্ন- ‘এভাবে আর কতদিন গুণতে হবে ‘ঈদ ভাড়ার’ নামে অতিরিক্ত টাকা?’ এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা স্ট্যান্ড থেকে ভরাসার, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে মীরপুরগামী যাত্রীদের ঈদের দুই আগে থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে।
একই অবস্থা নগরীর ঈদগাহ সিএনজি স্ট্যান্ড ও ফৌজদারী মোড় থেকে ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদেরও। ঈদ ও ‘জিবি’র বাহানায় তাদের কাছ থেকে ভাড়ার প্রায় দেড়গুণ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া গুণছেন জেলার চান্দিনা থেকে নবাবপুর, বাড়েরা-কাদুটি সড়ক, মাধাইয়া থেকে নবাবপুর হয়ে কৈলাইন সড়ক, চান্দিনা থেকে তেঘরিয়া-খোশবাস এবং কুটুম্বপুর থেকে কালিয়ারচর সড়কের যাত্রীরা।
গেল কিছুদিন এসব সড়কে সরেজমিনে ঘুরে যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও তেমন কোনো সুফল পাচ্ছেন না তারা। ঈদের নাম করে দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলেছেন চালকরা।
মাধাইয়া থেকে নবাবপুরের ভাড়া ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০/৪৫ টাকা, নবাবপুর থেকে কৈলাইন এর ভাড়া ২০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, চান্দিনা থেকে বাড়েরার ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫-৪০ টাকা, চান্দিনা থেকে কাদুটির ভাড়া ৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০/৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘নবাবপুর থেকে মাধাইয়ার ভাড়া তো ৩০ টাকা নেয়ার কথা। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমার ‘নলেজে’ আছে। তাদের (চালকদের) সাথে আমার কথা হয়েছে, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। কয়েকজন যাত্রীকে বলেন আমার নিকট লিখিত অভিযোগ করতে। আমি প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পাঠাব।’