কুমিল্লা বিমান বন্দরের দাবি থেকেও উপেক্ষিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ দীর্ঘদিন ধরে হচেছ হচেছ করেও হচ্ছে না কুমিল্লা বিভাগ। ঝুলে আছে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণার সিদ্ধান্ত। ব্রিটিশ আমল থেকে কুমিল্লায় বিমানবন্দর চালু হয়। পাকিস্তান আমলে হাঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো কলকাতা ও আগরতলার বিমানের সিগন্যাল দিয়ে মাসে মাসে রাজস্ব আয় হচ্ছে কুমিল্লা বিমান বন্দরের। দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার জনগণ বিমানবন্দরটি চালুর দাবি জানিয়ে আসলেও অদৃশ্য কারণে তা আর হচ্ছে না। মোটামোটি সংস্কার করলেই এ বিমান বন্দরটি চালু করা যায়।

কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আকম বাহা উদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লা বিমানবন্দর চালু না করে নোয়াখালীতে নতুন বিমান বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটা তেমন কোনো বিষয় না। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের ওপরই কথা বলবো। বিভাগ বাস্তবায়ন হলে আমাদের কাজের পরিধি বাড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোরলেনে দ্রুতগতির ট্রেন চালুর পথ রয়েছে। তখন বিমান বন্দর না থাকলেও তেমন কোন সমস্যা হবে না। কারণ তখন ট্রেনে আমরা যানজট ছাড়াই এক ঘণ্টায় কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পৌছাতে পারবো। বিমানে হয়তো ২০ মিনিট লাগবে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বলেছেন, নতুন বিমানবন্দর চালু করতে গেলে সরকারের বড় একটি বিনিয়োগ দরকার হবে। তারচেয়ে ভালো সামান্য বিনিয়োগে কুমিল্লা বিমানবন্দরটি চালু করা।

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক বলেন-কুমিল্লা বিমানবন্দর চালু করার পক্ষে সবাই সোচ্চার হউন। কুমিল্লা বিমান বন্দর বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো বিমান বন্দরের একটি। যেখানে সমস্ত কিছু প্রস্তুত,সেখানে কেন বিমানবন্দর চালু হবে না? এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আফতাবুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, কুমিল্লা বিমানবন্দর কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্যের বড় অংশ।১৮ বছর ধরে কুমিল্লা জেলা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পুরো দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। বিমানবন্দর চালু করলে ইপিজেডের কার্যক্রম আরো প্রসারিত হতে পারবে, তাতে দেশেরই লাভ।

রোটারী ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর দিলনাঁশি মোহসেন, বিমানবন্দর কুমিল্লায় চালু না হয়ে অন্য জেলায় নতুন বিমানবন্দর হওয়া চালু হওয়া খুবই দু:খজনক ঘটনা। কুমিল্লাকে পিছিয়ে রাখার একটা মানসিকতা কাজ করছে। কুমিল্লায় বিমান বন্দর চালু করলে দেশের অর্থনীতির চাকা ত্বরান্বিত হবে।

আরো পড়ুন