শ্রীকাইল-রামচন্দ্রপুর-তিতাস সড়কের বেহাল দশায় জনর্দুভোগ চরমে
মো: নাজিম উদ্দিনঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল-রামচন্দ্রপুর-তিতাস সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় পথচারীসহ যাত্রীরা পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলে অধিদপ্তরের অধিন মুরাদনগর উপজেলার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সড়কেরই অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রায় ১ যুগ পূর্বে সড়ক গুলোর কাজ করা হলেও দীর্ঘ দিন থেকে কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়ক গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কগুলোর মধ্যে শ্রীকাইল-রামচন্দ্রপুর-তিতাস সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। শ্রীকাইল থেকে-রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ও রামচন্দ্রপুর থেকে পাচঁকিত্তা বাজার হয়ে তিতাস ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব খালা-খন্ধে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। আর এ সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী ট্রাক ও যাত্রিবাহি যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই সড়কটি যেন একটি মরন ফাঁদে তৈরী হয়েছে। এর ফলে স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝূঁকিনিয়ে চলাচল করছে। আবার ঝুঁকির কারনে অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দিন দিন কমছে উপস্থিতির সংখ্যা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার সড়কে বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, রামচন্দ্রপুর থেকে পাঁচকিত্তা হয়ে তিতাস পর্যন্ত সড়কটি সড়কটি সংস্কার কাজের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে শুরুতে কাজ শুরু করা যাবে। অপরদিকে শ্রীকাইল-রামচন্দ্রপুর সড়কটি টেন্ডারের প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।