কুমিল্লায় সিআইডির কাছ থেকে আসামি ছিনতাই, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

মুরাদনগর সংবাদদাতাঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় হত্যা মামলার আসামি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আটক করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ওই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সিআইডি পুলিশ, হত্যা মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন ও বাদীর ভাই মোহন মিয়াসহ অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবরও রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের ফ্রিজ ব্যাবসায়ী মোজাম্মেল হোসেনের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামি খাামারগ্রাম দক্ষিন পাড়ার মৃত আদম আলীর ছেলে ডা: বিল্লাল হোসেন(৪৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের সুমন হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বাইড়া গ্রামেন নজরুল ইসলাম মাস্টার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি) এসআই ও হত্যা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আজমের নেতৃতে শুক্রবার সন্ধ্যায় নজরুলের বাইড়া গ্রামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে এ মামলার আসামি খামারগ্রামের বিল্লাল হোসেন বাঙ্গরা বাজারে একটি দোকানে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাদী ও তার ভাইকে নিয়ে বাঙ্গরা বাজারের ফ্রিজ ব্যাবসায়ী মোজাম্মেল হোসেনের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় একদল সন্ত্রাসী পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বিল্লাল হোসেনকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশের ব্যবহার করা গাড়ী ভাংচুর করে। পরে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনারস্থল থেকে সিআইডি পুলিশদের উদ্ধার করে।

সুমন হত্যা মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছালমা আক্তার বলেন, সিআইডি পুলিশের সাথে আমার স্বামী আসামি ধরতে গিয়েছিল। এর পর সে আর বাড়ীতে ফিরেনি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। ওখানে আসামি পক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার দেবর মোহন মিয়া মাথার আঘাতে আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডির) এসআই আবু আজমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাদীদের উপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সিআইডি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আটক করতে এসেছিল। তখন স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায়। সিআইডি গাড়িতে কোন হামলা হয়নি এবং এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগও হয়নি।

আরো পড়ুন