রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের স্বীকার আফজাল খান পরিবার!
ডেস্ক রিপোর্টঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কুমিল্লার প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, গণমানুষের নেতা, ১৪ দলের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক অধ্যক্ষ আফজল খানকে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ক্রয় নিয়ে কুমিল্লা-০৬ আদর্শ সদর আসনের প্রার্থীতা প্রচার করে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী অপপ্রচার শুরু করেছে।
সম্প্রতি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি শুরু হলে কুমিল্লার আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের জৈষ্ঠ্য পুত্র, এফবিসিসিআই পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ও তার কন্যা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র, কুমিল্লা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা কুমিল্লা-০৬ সদর আসন থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।
কিন্তু একটি সুবিধাবাদী চক্র আফজল খানকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে তার অগোচরে তার নামে একটি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। পাশাপাশি অশুভচক্রটি দু/একটি জাতীয় পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশ করে কুমিল্লাবাসীর মনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস শুরু করে। বিষয়টি অবহিত হয়ে আফজল খান এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কুমিল্লায় অধ্যক্ষ আফজল খান একটি ব্যক্তি না। একটি প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা আন্দোলনে কুমিল্লায় তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা যুদ্ধেও এই নেতা মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছেন দেশমার্তৃকার স্বাধীনতায়।
পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষা সাংস্কৃতির পাদপীঠ সাবেক কুমিল্লার আ’লীগের অন্যতম নেতা হয়ে বিভিন্ন পদলাভ করে দলকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন নিজের একক প্রচেষ্টায়। এরবাইরে সামাজিক কাজেও তার অবদান স্মরনীয়। সেই সাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও অবিচল এখনো এই রাজনৈতিক ব্যক্তিটি।
প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাত, বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা চলে। দিক নির্দেশনা দেন তার সমর্থিত নেতা-কর্মীদের। আর এভাবেই প্রতিদিন এই গণমানুষের নেতার দৈনন্দিন কাজ চলে আসছে। এরই মাঝে রাজনৈতিক পরিবারে তার সুযোগ্য জৈষ্ঠ্য পুত্র এফবিসিসিআই পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।
একইভাবে তার বড় কন্যা সন্তান সাবেক সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র বর্তমান কুমিল্লা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমাও জেলার রাজনীতিতে অনেকটাই পরিপক্ক হয়ে উঠেছেন।
ছেলে ইমরান খান ২০১৪ সালে কুমিল্লা-০৬ আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। জেলার সকলের প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তি আফজল খানের সুযোগ্য পুত্র মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ওই নির্বাচনে ৩৮ হাজারেরও বেশী ভোট পেয়ে রাজনৈতিক মহলে সবার নজরে আসেন।
একইভাবে তার সুযোগ্য কন্যা আঞ্জুম সুলতানা সীমাও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আ’লীগ থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্রার্র্থীর কাছে হেরে যান।
গত ৯ নভেম্বর আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আ’লীগের মনোনয়ন বিক্রয় শুরু হলে ওই দিনই আফজল খান সুযোগ্য পুত্র মাসুদ পারভেজ খান ইমরান এবং ১০ নভেম্বর তার সুযোগ্য কন্যা আঞ্জুম সুলতানা সীমা মনোনয়ন ক্রয় করেন। পরে ১২ নভেম্বর দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু একটি অশুভ চক্র রোববার সকাল থেকে আফজল খানকে নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এরই অংশ হিসেবে ওই অশুভচক্রটি নিজেদের অর্থে আফজল খানকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে তার নামে মনোনয়নপত্র ক্রয় করে তার বা পরিবারের অজ্ঞাতসারে। পাশাপাশি ওই চক্রটি মিথ্যা বানোয়াট মনোনয়ন ক্রয়ের বিষয়টি পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশের অপপ্রয়াস চালায়।
এরই এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকেই তার ও পরিবারের সদস্যদের কাছে মনোনয়ন ক্রয়ের বিষয়টি জানতে চায়। এসময় তিনি বলেন, আমি বা আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই আমার জন্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-০৬ আসন থেকে আ’লীগ দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেনি।
এই আসন থেকে আমার জৈষ্ঠ্য পুত্র মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ও কন্যা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমার প্রতিপক্ষরা ইর্ষান্বিত হয়ে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।