বুড়িচংয়ে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মান॥জলাবদ্ধতার আশঙ্কা
মো. জাকির হোসেনঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি এলাকায় পূর্ণমতি খালের উপর প্রভাবশালীরা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছে। এতে করে খালটিতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। এরইমাঝে পাশ্ববর্তী মসজিদ গেট এলাকায় ছোট সংযোগ খালটি ভরাট করে ফেলেছে প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলায় ভারত সীমান্তবর্তী বাকশীমুল ইউনিয়নের ভবেরমুড়া-ছয়গ্রাম এলাকা থেকে উৎপত্তি খালটি উপজেলা সদর ,জিরুইন-জগতপুর-টাকই হয়ে ব্রাহ্মনপাড়ার দিকে চলে যায়। খালটির সাথে গুংগুড় নদীর সংযোগ থাকায় এলাকায় পানি নিস্কাশনে এই খালের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বর্ষাকাল বা অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় সীমান্ত থেকে আসা পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম দিকে বিভিন্ন জলাশয় বা অন্যান্য খালে মিশে যায় । কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র রাজনৈতিক পরিচয়ে পূর্ণমতি বাজার এলাকায় খালের উপর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বেশ কিছু দোকান-ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে। এতে করে আগামীতে বর্ষা মৌসুমে পূর্ণমতি,নোয়াপাড়া,বারেশ্বর, এলাকাসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কার কথা বলছে স্থানীয় গ্রামবাসী । এছাড়াও পূর্নমতি মসজিদ গেট হয়ে এই খালের সাথে সংযুক্ত আরো একটি ছোট খালও প্রভাবশালীরা মাটি ভরাট করে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চললেও নিরিহ সাধারন মানুষ ভয়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে স্থাপনা নির্মানকারীদের নাম জানার চেষ্টা করলে কেউ বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলেন,খালের উপর দোকান নির্মান করছে এটা তো প্রকাশ্যেই করা হচ্ছে। অবৈধ হলেতো প্রশাসন বাধাঁ দিত। তারা আরো বলেন,এরফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে,যা আগামীতে এই এলাকায় ফসলহানীর কারণ হবে। সরকারী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মান করে চক্রটি মোটা অঙ্কেও টাকা অগ্রিম নিয়ে ভাড়া দিচ্ছে। কোন কোন দোকানঘর স্থায়ীভাবে বিক্রিও করে দিচ্ছে।
এব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান বলেন,আমি জানি এই খালটি দীর্ঘদিনের পুরনো। এলাকার চাষাবাদে কৃষকরা পানি ব্যবহার ছাড়াও বর্ষায় পানি নিস্কাশনে এই খালািট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি অচিরেই উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।