লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে শহরে রূপান্তরিত করা হবে-তাজুল ইসলাম এমপি
মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে শহরে রূপান্তরিত করা হবে। আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় উন্নয়ন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এমপি হলে আমার এলাকায় অসমাপ্ত সকল উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নিবে।
বুধবার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ও মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। বিগত দিনে এমপি থাকা কালীন আপনাদের সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের পাশে থাকব। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারা দিন নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা প্রফেসর গোলাম মোস্তফা উপস্থিত থেকে বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী না থাকায় আমরা মোঃ তাজুল ইসলামকে সমর্থন জানাচ্ছি। তাই এই আসনে জাতীয় পার্টির কর্মী ও সমর্থকদেরকে ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এড. ইউনুছ ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য এড. আবু তাহের, লাকসাম পৌরসভা মেয়র আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবদুল মন্নান মনু, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম হিরা, লাকসাম উপজেলা যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসরাম রতন, আবদুল আলিম দিদার, মোশারফ হোসেন মজুমদার, গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগরসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।