কুমিল্লা বোর্ডে ৩ সহস্রাধিক অনুপস্থিত, ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ডেস্ক রিপোর্টঃ জেএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লা বোর্ডের অধীন ছয় জেলায় তিন হাজার ৯৪ জন অনুপস্থিত ছিলো। এছাড়াও অসাধুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার,নকল সরবরাহের দায়ে এক শিক্ষককে অর্থদণ্ডসহ দুই যুবককে সাজা প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: শহিদুল ইসলাম জানান, জেএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৩ হাজার ৯৪ জন অনুপস্থিত ছিলো। এছাড়াও অসাধুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। অনুপস্থিতির মধ্যে কুমিল্লা জেলায় ১ হাজার ৬০ জন, চাঁদপুরে ১১২ জন, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ায় ৭০৫ জন, নোয়াখালীতে ৭২৪ জন, ফেনীতে ২৩০ জনএবং লক্ষ্মীপুরে ২৬৩ জন।
এদিকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জেএসসি ইংরেজী পরীক্ষায় সোমবার পরীক্ষা চলাকালিন ২’শ গজের মধ্যে ফটোকপি মেশিন ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই ব্যাক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২শত গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ফটোকপি মেশিন দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করায় ফটোকপি ব্যাবসায়ী উপজেলার সাহেবাবাদ গ্রামের ছারোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩২) কে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় ওই দোকানে ফটোকপি কাজের সাথে সম্পৃক্ত উপজেলার বেজুরা গ্রামের সামসুল হকের ছেলে ছায়েদুর রহমান (২৯) কে একই অপরাধে একই সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের জে, এস, সি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহকালে মো. জাকির হোসেন নামে এক শিক্ষককে আটক করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দায়িত্বরত পরিদর্শক টিম প্রধান ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাইদ। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালে রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র রাজামেহার ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী আদর্শ কলেজে।
ওই শিক্ষক এক ছাত্রকে সরাসরি নকল সরবরাহকালে পরিদর্শক টিমের ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাইদ হাতেনাতে ধরে ফেলেন। নকল সরবরাহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত না থাকার শর্তে রাজিনামাও প্রদান করেন। অভিযুক্ত জাকির হোসেন নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করে ছাড়া পান।