কুমিল্লা গোমতী নদীর অবৈধ ১২টি ড্রেজার ধ্বংস
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনার পর কুমিল্লা গোমতী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারি ১২ টি ড্রেজার মেশিন ধংস করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
এমপি বাহার কুমিল্লা গোমতী নদীর জিরো পয়েন্ট থেকে ৫৮ কিলোমিটার পর্যন্ত অবৈধ মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসনকে বলেন।
গত মঙ্গলবার এমপি বাহার সাংবাদিকদের বলেন গোমতী নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য এখন আর কারো ইজারা নেই।
গত চৈত্র মাসেই ইজারা বাতিল হয়েছে। বৈশাখ মাস থেকে যারা বালু তুলছে তারা সবাই অবৈধভাবে দখল ও বালু তোলার নামে অসহায় কৃষকের ফসলী জমি জোর করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গোমতী নদীর চরের আমার সাধারন কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। মাটি কেটে এবং বালু তোলে কৃষি জমির উপর রেখে কৃষকের ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা এখানে ফসল উপাদন করতে পারছে না।
এমপি বাহার বলেন, গোলাবাড়ি জিরো পয়েন্ট থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী নদীর সকল ড্রেজার ও এস্কাভেটর ধংস করার জন্য জেলা প্রশাসনকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ২৮ এপ্রিল বুধবার সকালে গোমতী নদীর জগন্নাথপুর, টিক্কারচর ও গোলাবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালাত পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এ সময় ১২ টি ড্রেজার মেশিন ধংস করা হয়। বালু উত্তোলনের লোহার পাইপ অপসারণ করা হয়। অভিযান চালিয়ে গত তিন দিনে মোট ২৬ টি ড্রেজার ধংস করে জেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা জানান ধংসকৃত ড্রেজারগুলো দিয়ে পাঁচথুবীর হাসান রাফি রাজু ও শুভপুরের শাহাজাদা টুটুল অবৈধভাবে গোমতী নদী থেকে বালু মাটি উত্তোলন করতো।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনি রায় ও মাহমুদুল হাসান রাসেল জানান, কুমিল্লা গোমতী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অদালতের মাধ্যমে অভিযান চলমান থাকবে। কুমিল্লা গোমতী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অদালত পরিচালনার সময় পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আইনশৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।