কুমিল্লায় মাদরাসা ছাত্রীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লা চান্দিনায় মাদরাসাছাত্রী ছালমা আক্তারকে (১৪) গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (০২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ছালমা আক্তার চান্দিনার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সোলাইমান ব্যাপারীর মেয়ে। সে দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
ছালমার বাবা সোলাইমান ব্যাপারী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার ভাইপো শাহ কামাল, শাহ জালালসহ কয়েকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য গ্রাম্য মাতব্বরদের জানালেও তারা মীমাংসা করেনি। এ ঘটনার জের ধরে তারা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে। আমার স্ত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার হামলার ভয়ে আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। রাতে মেয়ে বাড়িতে একা ঘুমিয়ে ছিল। সকালে পাশের ঘরের লোকজন ছালমাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করে। এক পর্যায়ে পুকুরে ছালমার গলা কাটা লাশ দেখতে পায় তারা। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে।