আনন্দ মিছিল থেকে ডেকে নিয়ে নিজ দলীয় কর্মীকে কুবি ছাত্রলীগের মারধর

কুবি প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল থেকে ডেকে নিয়ে এক কর্মীকে মারধর করেছে নিজ দলের নেতাকর্মীরা। দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করে আদালত। রায় ঘোষনার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আসে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের অনুসারী রাফিউল আলম দীপ্ত, মুনতাসির আহমেদ হৃদয়, বিপ্লব দাসসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের অনুসারী রাশেদুল ইসলামকে মিছিল থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ আমি মিছিলে ছিলাম। হঠাৎ করে দীপ্ত, হৃদয়, বিপ্লবসহ বেশ কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়ে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এসময় আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস জানান, ‘ আমরা আনন্দ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের সামনে গেলে সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তার অনুসারীরা আমার কর্মীর উপর হামলা চালায়।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘ আমি বিষয়টি জেনেছি এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করে নাই।’
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত মুনতাসির আহমেদ হৃদয়কে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে গেল বছরের ২০ ডিসেম্বর বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত দীপ্ত, বিপ্লবসহ সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও মারধরের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।