কুমিল্লায় ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, দুই সাংবাদিককে মারধর
কুমিল্লার চান্দিনায় ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেড এর এক নারী গার্মেন্টেকর্মীকে গণধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে মারধর করছে ওই গার্মেন্টের মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকাল পৌঁনে ৮টায় চান্দিনার বেলাশহর এলাকায় অবস্থিত ওই গার্মেন্টের সামনের সড়ক থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে মারধর করে গার্মেন্টের ভেতরে নিয়ে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আহতরা হলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. আব্দুল বাতেন এবং দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন। এর মধ্যে সাংবাদিক আব্দুল বাতেন চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেডের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই ও গার্মেন্টের কোয়ালিটি সুপারভাইজার মো. লিটন, তার ভাই আনোয়ার হোসেন সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ওই হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক আব্দুল বাতেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় আমরা মোটরসাইকেলযোগে ওই গার্মেন্টের সামনের সড়ক দিয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেন এর বাড়িতে যাওয়ার পথে লিটন, আনোয়ার এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও আমার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর চান্দিনা পুলিশ ও চান্দিনায় কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গার্মেন্টের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের গার্মেন্টের কোনো নারী শ্রমিক ধর্ষিত না হলেও সাংবাদিকরা আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এমনটা হতে পারে।
এদিকে, গত সোমবার (৬ জুলাই) রাত ৯টায় ওই গার্মেন্টে ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এক নারী শ্রমিক। ওই রাতেই চান্দিনা থানা পুলিশ তিন ধর্ষককে আটক করে এবং ঘটনাস্থলটি দেবীদ্বার থানায় হওয়ায় পরদিন দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনার শোনার সাথে সাথে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ পুরো ঘটনা শুনে এবং গার্মেন্টের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সাংবাদিকদের মারধরের সত্যতা পায়। এ ছাড়া গত ৬ জুলাই রাতে ওই গার্মেন্টের এক নারী শ্রমিক ধর্ষণের ঘটনাও সত্য। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ