কুমিল্লায় পুলিশ সুপার পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণা
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মো. আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মো. রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়-দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে। এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো। পুরো টাকা হারালে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেত।
পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়। এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।