কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভুট্টার ফলন ও দামে লাভবান কৃষক
জেলার দাউদকান্দিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের ভুট্টা কাটা শুরু হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ায় উপজেলার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা ১২০০-১৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভুট্টার ফলন এবং দাম ভালো হওয়ায় দাউদকান্দির কৃষকরা এ বছর লাভবান হচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় গতবারের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে মাঠে ভুট্টার গাছগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বৈরি আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর আঘাত থেকে মুক্ত থাকায় এবারে ভুট্টার কোনো ক্ষতি হয়নি।
উপজেলার চর মাহমুদ্দী গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বাসসকে বলেন, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করতে বীজ, সার, সেচ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার প্রতিমণ ভুট্টা গ্রাম থেকেই ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টা প্রায় ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, শুধু ভুট্টা বিক্রির টাকাই আসছে না, ভুট্টার গাছ এবং মোচা সারা বছরের রান্নাবান্নার জ্বালানির জোগান দেয়। তিনি বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টা-চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি শাহাজউদ্দিন সরকার জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ভুট্টার বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। তার ধারণা, প্রতিবিঘায় প্রায় ৫০ মণ করে ফলন হবে। তাতে ৬ বিঘা জমিতে তিনি শত মণ ভুট্টা পাবেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, চলতি বছরে দাউদকান্দিতে ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যেসব কৃষক আলু উঠিয়ে ভুট্টার আবাদ করেছে সেগুলো আরো কিছুদিন পরে উঠবে। যারা আগাম আবাদ করেছে তাদের ভুট্টা উঠছে এবং প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ১০ টন থেকে ১১ টন। ফলন এবং দাম দুটোই ভালো পাচ্ছে বিধায় কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের উন্নত বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সব সময়ই উৎসাহ দিয়ে এসেছি।