‘চড়-থাপ্পড় দিতে পারত, কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে’
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেদিন ওই বারে কী ঘটেছিল, সংবাদমাধ্যমের কাছে সে বর্ণনা দিয়েছেন মারধরের শিকার রিতা আক্তার সুমি নামে ভুক্তভোগী নারী।
তিনি বলেন, ‘আমি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম, কারণ ওখানকার খাবারটা অনেক ভালো। খেতে গিয়েছিলাম। ওই মেয়েরা চারজন মিলে ওয়াশরুমে গিয়েছে। কোনো নিয়ম আছে একটা রেস্টুরেন্টে চারজন মিলে ঢোকা (ওয়াশরুমে)? সিরিয়াল মতো যাওয়া যাওয়া, তাই না?’
তিনি বলেন, ‘ওখানকার ম্যানেজারকে আমি, বাউন্সার যাকে বলে তাকে বললাম যে, ‘‘ভাইয়া, চারজন মিলে ওয়াশরুমে গিয়েছে, আরও কারও তো দরকার পড়তে পারে।’’ বাউন্সার কি করেছে, তাদের বের দিয়েছে ধরে। তাদের বের করে দেওয়ার পরে আমরা ১২টা, সাড়ে ১২টার (রাত) দিকে আমি ও আমার ফ্রেন্ড মিলে বের হচ্ছি। ওদের সঙ্গে আমরা বের হচ্ছি। বের হওয়ার পর ও (আক্রমণকারী নারী) কি করছে, গাড়ি নিয়ে, একটা কালো গাড়ি নিয়ে ভেতরে বসা ছিল। ওখান থেকে এসেই আমার শাড়ির দিকে অ্যাটাক করতেছে।’
ওই নারী আরও বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে তারা। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। রাস্তায় একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।
তারা মিমাংসার কথা বলছে- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওই নারী বলেন, ‘না, আমি কোনো মিমাংসা করব না। আমি হ্যারাসমেন্ট হইছি, সোস্যাল মিডিয়াতে আমি ভাইরাল হয়ে গেছি। উনারা হন নাই। উনারা মিডিয়াতে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। কেন, আমি যদি দোষ না করি কথা বলতে কোনো প্রবলেম আছে? উনারা দোষ করেছেন বলেই কথা বলতে চাচ্ছেন না। আমি সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার চাই।’
এদিকে এ ঘটনায় ডিবি বলছে, ওই তিন নারীর মদ পানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। সেলেব্রিটা বার বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে গোয়েন্দা পুলিশ।