ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে: আসিফ
বন্যাকে পরিকল্পিত দুর্যোগ বলে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি এ পোস্ট করেন।
পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। সম্মিলিতভাবে এই পরিকল্পিত দুর্যোগ মোকাবিলা করবে সরকার ও জনগণ।
পরে অপর এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা কে আশ্রয়, নোটিশ ছাড়াই ওয়াটার গেইট খুলে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
এর আগে বুধবার ভারত থেকে পানির ঢল আসা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি, প্রয়োজনে ভারতের কাছে যে কোনো পদক্ষেপের অনুরোধ করা যাবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধান ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা একটি সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেছেন।
এদিকে তিস্তাসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন নদী প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করছেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আমরাও আমাদের মানুষের কথা ভেবে পরবর্তী সিদ্ধান্তে যাব। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক বজায় রেখে প্রয়োজনে তিস্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার। তিস্তা পাড়ের মানুষের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।’ এর আগে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশের নদী রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংক আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এ তথ্য জানান। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় আরও নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।