নাঙ্গলকোটে জসিম মেম্বার বেপ রোয়া কর্মকান্ডে আ তঙ্কে এলাকাবাসী
মো: ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিনের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও হেসিয়ারা গ্রামের মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে। স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার আশিরবাদপুষ্ট হওয়ায় কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারছে না।
অনুসন্ধান ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জসিম উদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে নিজ গ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র, হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এসব কর্মকান্ডের সহযোগিতা করছেন এলাকার বাহিরা গত কিছু বখাটে মাদক ব্যাবসায়ী। তার সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে কয়েকটি অটোরিক্সা চুরি হয়েছে। পুলিশ কয়েকটি অটোরিক্সা উদ্ধার করে। এছাড়াও ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। অপরদিকে নাটোর জেলায়ও আরেকটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি বলেন, জসিম মেম্বারের একটি বাহিনী অটোরিক্সা চুরির সাথে জড়িত রয়েছে। এছাড়াও বাঙ্গড্ডা ইউপির নূরপুর, হেসিয়ারা ও শ্যামপুর এলাকার ডাকাতিয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় বিক্রি করে আসছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পাড়ে বসবাসকারীরা।
স্থানীয়রা আরো জানায়, জসিম প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না। যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকেও হামলার স্বীকার হতে হয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডের স্বীকার হয়েছে ওই ইউপির এক গ্রাম পুলিশ।
অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিনের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। পরে হেসিয়ারা ডাকাতিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় জসিম সাংবাদিকদের বলেন, যাহা পারেন তাহা লিখেন, আমি স্থানীয় যুবলীগ নেতার সহযোগিতায় এসব করছি। আমার হাত অনেক লম্বা।
এ ব্যাপারে সোমবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো: নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। এছাড়াও নাটোর জেলায় আরেকটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। মাদকের সাথে যদি জড়িত থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।