কুমিল্লার দেবিদ্বারে জামিনে বেরিয়ে ধ’র্ষণ মামলার বাদীকে প্রা’ণনাশের হু’মকি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ধ’র্ষণ মামলার ২আসামি জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে মামলার বাদী ও ভিকটিমকে মামলা তুলে নিতে প্রা’ণ নাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যায় বিচারের আশায় ঘটনার পর থেকে পিতৃহারা ওই ভি’কটিম কিশোরী গত ৪ বছর যাবৎ আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, পৌর এলাকার বড় আলমপুর গ্রামের পিতৃহারা এক কি’শোরীকে (১৫) বিগত ২০১৫ সালের ১২ মে অভিযুক্ত এরশাদ ঘর থেকে তুলে নিয়ে একই গ্রামের হাসান ও আনোয়ার হোসেনের হাতে তুলে দেয়ার পর এরশাদ অন্যত্র পালিয়ে যায়। গোমতী নদীর বেড়িবাধে নিয়ে হাসান ও আনোয়ার ওই কিশোরীকে ধ’র্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে ৪ দিন পর গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর ধ’র্ষক একই গ্রামের শাহজানের পুত্র হাসান (২৩)ও রেনু মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন (২৩) কে আ’টক করে দেবিদ্বার থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় ১৬ মে ভিকটিম কিশোরীর মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নি’র্যাতন আইনে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দেবিদ্বার থানা পুলিশ আসামিদের জবানবন্দি ও ভি’ক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার অপর ২ আসা’মি ছিলেন একই উপজেলার আবদুল্লাহ পুর গ্রামের মৃ’ত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র এরশাদ (২৮) ও মালু মিয়ার পুত্র আরিফ (২০)। পরে মামলায় অভিযুক্ত এরশাদ মৃ’ত্যু বরণ করেন এবং আরিফকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
এদিকে গ্রে’ফতার হওয়া আসামি হাসান ও আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ৪ বছর কারাগারে থাকার পর গত ৪ মাস আগে জামিনে বেড়িয়ে এসে বর্তমানে মামলা তুলে নিতে বাদি মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়েকে প্রা’ণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে ভি’কটিম ওই কিশোরী ও তার তার মা মনোয়ারা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর ৪ বছর ধরে আদালতে ধ’র্ষকদের বিচারের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রায় শেষ, বাকী রয়েছে ডাক্তার ও পুলিশের সাক্ষ্য। এখন ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় রায়ের অপেক্ষায় আছি, কিন্তু আসামি হাসান ও আনোয়ার জামিনে বাড়িতে এসে মামলা আপোষ করে নিতে আমাদেরকে হু’মকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে অসহায় ওই পরিবার আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।