চৌদ্দগ্রামে এম এ জলিল স্মৃতি-সংসদের উদ্যোগে গুণবতীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল স্মৃতি-সংসদের আয়োজনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
গতকাল ওয়াদুদ আকবর গার্ডেন মিলনায়তনে এম এ জলিল স্মৃতিসংসদের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ দুলালের সভাপতিত্বে ও গুণবতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গুণবতী রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবদুল আহাদ। এরপরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পুলিশের সার্কেল অফিসার এডিশনাল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আলী হোসেন,চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রন্জন চাকমা, গুণবতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ভিপি আবুল খায়ের, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আবদুর রশিদ কন্টাক্টটর, কনকাৈপত পুলিশ পাড়ির ইরচার্জ কাউছার হামিদ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংকের ম্যানেজার, শুভপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা আহবায়ক আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা পেয়ার আহম্মেদ।
আলোচনা শেষে গুণবতী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি বৃন্দ। সংবর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-জালাল উদ্দিন, আবদুল আমান মিয়াজী, সিরাজুল হক, আবু মুসা, শামসুল আলম, আবদুল মোতালেব ভেন্ডর, প্রয়াত হাজী আফজালের রহমানের পক্ষে সন্তান লোকমান হোসেন, জয়নাল আবদীনের পক্ষে টুটুল, মোঃ ইব্রাহিমের এর পক্ষে আবুল হাসেম সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ছি, কোন কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাইনি।তবে আজকের এই সংবর্ধনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে অনেক সম্মানের।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল ওয়াদুদ দুলাল বলেন, আমার বহুদিনের আকাঙ্খা স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে হলেও পূরণ করতে পারলাম।বাংলাদেশের সূর্য্য সন্তানদের সম্মান্বিত করতে পেরে গর্ববোধ করছি।
বিশেষ অতিথি সার্কেল অফিসার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, স্বাধীনতার ১৬ বছর পরে আমার জন্ম হয় আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারিনি কিন্তু এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি কল্পনা করতে পারি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের নামে একটা সড়কের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।