দেবিদ্বারে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দম্পতিকে কুপিয়ে যুবক কারাগারে
দেবীদ্বারে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে প্রকাশ্য দিবালোকে দা’ দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠিপেটায় নির্মমভাবে আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ রোববার দিবাগত রাতে মো. কামরুল হাসান(৩০) নামে হামলাকারীদের একজনকে গ্রেফতারপূর্বক সোমবার দুপুরে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ৮মে শনিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার ১২নং ভানী ইউনিয়নের কটকসার গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে। ওই দিন বাড়ির সীমানায় আমগাছ থেকে আমপাড়াকে কেন্দ্র করে চাচা- ভাতিজাদের মধ্যে ওই হামলার সূত্রপাত বলে জানা যায়। ওই বাড়ির হারুন-অর-রশিদ’র পুত্র মোঃ ওমর ফারুক(৪০) ও কামরুল হাসান(৩০) এবং পুত্র বধূ (ওমর ফারুকের স্ত্রী) পারভীন আক্তার(৩০) প্রকাশ্য দিবালোকে দা’ দিয়ে কুপিয়ে, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে মো. হাবিবুর রহমান(৭০) ও তার স্ত্রী আসমা(৬০) নামে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে। হামলাকারীরা সম্পর্কে আহত মোঃ হাবিবুর রহমান’র দুই ভাতিজা ও এক ভাতিজার বধূ।
ওই ঘটনায় গত রোববার রাতে প্রবাসী গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী আহত তাছলিমা বেগম(৩০) বাদী হয়ে হারুন-অর-রশিদ’র পুত্র মোঃ ওমর ফারুক ও কামরুল হাসান(৩০) এবং পুত্র বধূ (ওমর ফারুকের স্ত্রী) পারভীন আক্তার(৩০) ও আরো দু’জন মহিলা সহ ৫জনকে অভিযুক্ত করে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের প্রথমে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়, প্রাথমিক সেবা দিয়ে তাদের আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানাযায়, হাবিবুর রহমানের আপন ভাই হারুনুর রশিদের ছেলে ওমর ফারুক ও কামরুল হাসান জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন সময়ে বৃদ্ধ হাবিবুর রহমানের বৃদ্ধা স্ত্রী আসমা বেগম ও পুত্রবধূ তাসলিমা আক্তার এর উপর প্রায় সময় নির্যাতন ও মারধর করে আসছিল।
বৃদ্ধার পুত্র কুয়েত প্রবাসী গোলাম রাব্বানী সেল ফোনে বলেন, আমি বিগত ১৮ বছর ধরে কুয়েত প্রবাসে থাকার কারনে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা এবং আমার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেই যাচ্ছে আমার চাচা হারুনুর রশিদ’র পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবার একমাত্র সন্তান আমি আর আমার চাচা হারুনুর রশিদের পাঁচ ছেলে। বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এবং পূর্ব থেকেই আমার চাচা আমার বাবার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে সেই জের ধরে গত ৮ ই মে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে এবং স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে হত্যার উদ্দ্যেশে দা দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠিসোটা দিয়ে মারধরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই হাবিবুর রহমানের ভাতিজা ওমর ফারুক ও তার ভাই কামরুলের নেতৃত্বে ওই হামলায় চাচা, চাচি ও চাচাতো ভাবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনার সংবাদে আমার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেফতার করি, বাকীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। ৫জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে।