কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জন নিহত
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আ লিক মহাসড়কের মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বিহড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে একুশে এক্সপ্রেসের একটি বাস হিমাচল এক্সপ্রেসের একটি বাসকে অভারটেক করার করার সময় একুশে এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় অটোরিকশার যাত্রী বিপুলাসার ইউনিয়নের সাইকচাইল গ্রামের রুহুল আমিন ও সেফালি বেগম নামের এক দম্পতি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে হাসপাতালে নিলে একই গ্রামের প্রবাসী জুয়েলের মেয়ে কলেজ ছাত্রী মায়মুনা আক্তারকেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় রিকশা চালক খোকনকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী উদ্ধার করেন নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল ও লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান।
নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। তাৎক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশও এসেছে। হতাহত ৪জনই একই গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে মহাসড়কে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা চালানোর কারণে ওই এলাকায় প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাশবর্তী নাথেরপেটুয়া পুরাতন বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় আহত হন আরও চারজন।
মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।