কুমিল্লায় জমে উঠেছে বৃক্ষমেলা
ক্রেতা-দর্শনার্থী আর উদ্ভিদ প্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লা টাউন মাঠের বৃক্ষমেলা। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে দেশি-বিদেশি প্রায় ২০০ প্রজাতির ফল, ফুল, কাঠ ও ওষুধি গাছের চারা দিয়ে। নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ক্রেতারা আসছেন মেলা প্রাঙ্গণে। ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দমতো গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাসব্যাপী এ বৃক্ষমেলা চলছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র টাউন হল প্রাঙ্গণে। মেলায় স্টল সাজিয়ে বসেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নার্সারি মালিকরা। তখন থেকেই মেলাকে ঘিরে সেখানে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। জমে ওঠে বেচা-কেনাও। বৃক্ষপ্রেমীদের আগমনে খুশি নার্সারি ও স্টল মালিকরা। তাঁরা জানান, ধীরে ধীরে মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে বিক্রিও। বৃক্ষমেলায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে এসেছেন নগরীর ঝাউতলা এলাকায় মরিয়ম আক্তার।
তিনি বলেন, মেলায় এসেছি ভালো লাগছে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, দেখতেও ভালো লাগছে। তিনি বলেন, গাছ আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখে, সবারই উচিত গাছ লাগানো। এখন হয়তো এত বড় পরিসর নেই, উঠোন নেই। তারপরও যেখানে যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে সেখানেই কমবেশি গাছ লাগাতে হবে। তাছাড়া ছাদে-বারান্দায় টবেও তো গাছ লাগানো যায়।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় কুমিল্লার ধর্মপুরের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক আব্দুস ছাত্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, সবুজ বাঁচলেই তো মানুষ বাঁচবে। নিজেদের প্রয়োজনেই প্রত্যেক নাগরিকের উচিত বেশি করে গাছ লাগানো। মেলায় কতো প্রজাতির গাছ দেখলাম। প্রাণটা ভরে গেল। তিনি বলেন, কয়েকটি চারা কিনেছি, লাগানোর জায়গা থাকলে আরো কিনতাম।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা কুমিল্লা সরকারী কলেজের এক ছাত্রী ফেরদৌসী আক্তার বলেন, মেলায় ঘুরতে এসেছি। পরিবেশটা এত সুন্দর লাগছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তিনি বলেন, আমি দুটো গাছ কিনেছি, ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় টবে লাগাবো। আবারও আসবো, গাছ কিনে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবো।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসরণ বিভাগর উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ক্রেতারা আসছেন মেলা প্রাঙ্গণে। ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দমতো গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। বৃক্ষমেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।