স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লার ১০ হাজার মসজিদে হবে ঈদের জামাত
ঈদুল ফিতরে কুমিল্লা নগরী ও ১৭ উপজেলার ১০ হাজার ৫৪৯টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা নগরীর ১৩৫টি মসজিদের বেশিরভাগ স্থানেই ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মসজিদসমূহে বেশির ভাগই ঈদের নামাজ সকাল ৯ টায় হবে। এছাড়া কোথায়ও এর আগে এবং এর পরেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার সূত্র মতে, কুমিল্লা নগরীর ১৩৫টি মসজিদের বাইরে জেলার দাউদকান্দির ৭৮৯টি, মেঘনার ২৭৩টি, হোমনার ৫৫৩টি, তিতাসের ৪৫৩টি, মুরাদনগরের ১হাজার ১০৬টি, দেবিদ্বারে ৮০৫টি, বুড়িচংয়ে ৫৩৮টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩৩২টি, আদর্শ সদরে ২২৩টি, চান্দিনার ৭৬১টি, বরুড়ার ৯১৮টি, লাকসামের ৫৩৯টি, মনোহরগঞ্জের ৫০৫টি, সদর দক্ষিণের ৪১৪টি, লালমাইতে ৫৫৫টি, নাঙ্গলকোটে ৬৮৩টি ও চৌদ্দগ্রামের ৯৬৭ টিসহ মোট ১০ হাজার ৫৪৯ টি জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার উপ-পরিচালক সরকার সারোয়ার আলম বলেন, সরকারিভাবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যারা অসুস্থ বা রোগীর সেবায় নিয়োজিত ছিলো তাদের মসজিদে না আসার জন্য বলা হয়েছে। সবাই বাড়ি থেকে ওজু করে আসতে হবে। মাস্ক পরে আসবে ও নিজ নিজ জায়নামাজ সাথে নিয়ে আসবে।
তিনি আরো বলেন, এবারের ঈদে কোলাকুলি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর মসজিদের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ মসজিদের উদ্যোগে কার্পেট বা জায়নামাজ বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। দূরত্ব রেখে মুসল্লিাদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক জামাত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার নগরীর মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮ টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশী হয়, তবে পরপর আর দুটি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে। মুসল্লিদের এই বিষয়ে জুমার নামাজে বিস্তারিত বলা হয়েছে বলে জানান তিনি