মসজিদে নববীতে এক বছরে ২৮ কোটি মুসল্লির নামাজ আদায়
সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে নববীতে গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৮ কোটিরও বেশি মানুষ নামাজ আদায় করেছেন। সরকারি এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এসপিএ বলেছে, মুসল্লিরা আধ্যাত্মিক পরিবেশের মধ্যে নামাজ আদায় করেছেন। এ সময় মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সাধারণ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে মুসল্লিদের সেবা প্রদান করেছে।
মসজিদে নববীর জেনারেল অথরিটি বলেছে, মুসল্লিদের স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায়ে সহায়তা করার জন্য তারা সর্বোচ্চ মানের পরিষেবা সরবরাহ করার চেষ্টা করেছে। সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। রওজা শরিফ পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের দেশটিতে পৌঁছানোর আগে সৌদি আরবের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।
মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান মসজিদুল হারামে ওমরাহ পালনের পর অনেক মুসলিম নামাজ আদায় এবং আল রাওদা আল শরিফা পরিদর্শন করতে মসজিদে নববীতে যান। ছয় মাসের বেশি সময় আগে সৌদি আরবে ওমরাহ মৌসুম শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় এক কোটি মুসলিম ওমরাহ পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সৌদি আরব।
চলতি মাসে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, গত বছর ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা রেকর্ড এক কোটি ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। গত এপ্রিলে সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে নববীর পবিত্র কক্ষের চারপাশে পিতলের তৈরি সোনালী রঙের একটি প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করে।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মসজিদে নববীতে অবস্থিত মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা পরিদর্শনে নতুন নিয়ম জারি করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে বিশ্বের মুসলিমরা ব্ছরে কেবল একবারের জন্য পবিত্র রওজা মুবারক পরিদর্শন করতে পারব্নে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থানটি ৩৬৫ দিনই পরিবদর্শন করতে পারবেন মুসলিমরা। এক্ষেত্রে একজন মুসলিম বছরে একবার পবিত্র রওজা পরিদর্শনের অনুমতি পাবেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, একজন মুসলিম তার সর্বশেষ পরিদর্শনের অনুমতির ৩৬৫ দিন পর আল রওদা আল শরিফা পরিদর্শনের জন্য নুসুক বা তাওয়াক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে পবিত্র রওজা পরির্দশনের অনুমতির জন্য আবেদনের সাথে করোনায় আক্রান্ত না হওয়ার এবং করোনা রোগীদের সংস্পর্শে না আসার সনদ সরবরাহ করতে হবে।
সূত্র: গালফ নিউজ, এসপিএ।