ডাস্টবিনের ওপর ঝুলানো হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের প্রতিমূর্তি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের প্রতিমূর্তি তৈরি করে পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও গোল চত্বরের পাশে ডাস্টবিনের উপর এ কুশপুত্তলিকা টাঙানো হয়। শুক্রবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও প্রধান ফটকের সামন এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমূর্তির মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। তার মাথায় একটি শিং রয়েছে। প্রতিমূর্তির হাত দুইটি প্রসারিত রয়েছে। বুকের মাঝে ব্যানার ঝুলানো সেখানে দেখা যায় ভিসি কনুই দিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষককে মারছেন। এছাড়াও উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে পদত্যাগ করা শিক্ষকদের পদত্যাগপত্রের ছবি সহ ব্যানার ঝুলিয়েছেন তারা।

এছাড়াও গত পাঁচ দিন ধরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই উপাচার্য আসার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি একটা আমদানিকৃত পঁচা মাল। একজন উপাচার্য হয়ে তিনি মিথ্যাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আজকে আমরা ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে ডাস্টবিনের উপর তার কুশপুত্তলিকা স্থাপন করেছি। তার নির্দিষ্ট জায়গায় সে স্থান পেয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ ২৮ তারিখ শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করেছেন। এ নিয়েও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। আজকে তিনি ক্যাম্পাসে না এসেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী গ্রহণ করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা তার প্রতিমূর্তি স্থাপন করেছি।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে উপাচার্য আবদুল মঈনকে কয়েকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামানের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান, এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখসহ ২০ থেকে ৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন